ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যার পর গায়ে আগুন লাগিয়েছে হত্যাকারী। সোমবার (৫ এপ্রিল) রাতে উপজেলার ধাওয়া গ্রামে হত্যাকান্ডের এ নির্মম ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ফরিদা বেগম (৭০) এবং তার মেয়ে চম্পা বেগম (৩৫)। হত্যার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত মোঃ ওবায়দুল হক বাদল খান (৪৫)। রাত তখন আনুমানিক ১১ টা। হঠাৎ করে চাপা শব্দ আর গোঙ্গানীতে ঘুম ভাঙ্গে বাদল খানের ১০ বছরের ছেলে ইয়াসিনের। পাশের রুমে গিয়ে দেখেন বিছানা ও মেঝেতে রক্ত আর নিথর দু’টি দেহ পড়ে আছে খাটে। সে ভয়ে দৌড়ে গিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেয় এবং সে প্রতিবেশীকে জানায় যে, তার বাবা সৎ মা চম্পা এবং চম্পার মা ফরিদা বেগমকে হত্যা করেছে। প্রতিবেশীরা সেখানে গিয়ে তাদের মৃতদেহ পরে থাকতে দেখে। ভান্ডারিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহমদ আনওয়ার বলেন,হত্যাকান্ডের পর থেকে অভিযুক্ত মোঃ ওবায়দুল হক বাদল খান (৪৫) পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে কি কারণে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারেনি পুলিশ কিম্বা নিহতের স্বজনরা। মামলা প্রকৃয়াধীন রয়েছে।স্থানীয়রা জানায়, মোঃ ওবায়দুল হক খান বাদল এর আগে ৩ টি বিয়ে করেছেন। সর্বশেষ এ বছরের ১৬ এপ্রিল প্রতিবেশী চাচাতো বোন চম্পাকে বিয়ে করে সে। এরপর থেকেই সে স্ত্রী চম্পা, শাশুড়ি এবং প্রথম স্ত্রীর ছেলে ইয়াসিনকে (১০) নিয়ে একত্রে বাসবাস করত।