পিরোজপুর প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজে জাল সনদপত্রের মাধ্যমে প্রভাষক পদে চাকরি নিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রভাষক লায়লা পারভীন (৬২), তার স্বামী পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল (৬৮) এবং কলেজটির অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদার (৫৫)-এর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।মঙ্গলবার (৩ জুন) দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাট বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে নিয়োগ পান পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় অবস্থিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজের দাতা সদস্য এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির সভাপতি আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীন। তবে নিয়োগ পরীক্ষায় লায়লা পারভীন এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক পরীক্ষায় পাশের যেসব সনদপত্র দিয়েছেন তার সবগুলোই ভুয়া। মূলত স্বামীর প্রভাব এবং কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদের সহযোগীতায় জাল সনদপত্র দিয়ে লায়লা পারভীন কলেজটিতে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অপরদিকে, প্রতিষ্ঠার পর কলেজটি এমপিওভুক্ত না হলেও, নিয়ম ভেঙে ২০১৮ সালে এটি সরকারি করে ফেলা হয়। এ ছাড়াও লায়লা পারভীন কলেজটির প্রভাষক হিসেবে নাজিরপুর সোনালী ব্যাংক শাখা হতে ৮ আগস্ট ২০১৮ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত মোট ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪০৬ টাকা উত্তোলন করেন বলেও উল্লেখ করে দুদক।দুদক পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য যখন ওই কলেজের সভাপতি ছিলেন তখন তিনি ক্ষমতা অপব্যবহার করে তার অষ্টম শ্রেণি পাস করা স্ত্রীকে প্রভাষক পদে চাকরি দেন। আমি নিজে এর তদন্ত করি। তদন্তে জাল সনদে চাকরি নেয়ার প্রমান পাওয়ায় উপসহকারী পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাটকে দিয়ে মামলা করিয়েছি।