1. multicare.net@gmail.com : আমাদের পিরোজপুর ২৪ :
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পিরোজপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোথাও কর্মবিরতি, কোথাও চলছে ক্লাস কাউখালীতে জমি নিয়ে বিরোধ, সংঘর্ষে আহত বৃদ্ধার মৃত্যু নেছারাবাদে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‌্যালি নাজিরপুরে তুচ্ছ ঘটনা‌কে কেন্দ্র ক‌রে দুই স্কু‌লের ম‌ধ্যে সংঘর্ষ আহত ৫ মুন্সিগঞ্জে ৫৫ লক্ষ টাকার মাদক ধ্বংস করলেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নেছারাবাদের একটি স্কুলের ১৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় কাউখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মৌলিকে সংবর্ধনা কাউখালীর সরকারি দুই স্কুলে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ শীর্ষক সংগীত পরিবেশন নূন্যতম ঐক্যমত ছাড়া গনতান্ত্রিক উত্তরন সম্ভব নয় – ইলিয়াস হোসেন মাঝি জামায়াত নেতা আজহার মামলা থেকে খালাস পাওয়ায় রাজাপুরে শোকরানা অনুষ্ঠিত

শিক্ষকের বেত্রাঘাতে১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ, বিচারের দাবিতে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :

পিরোজপুরের নেছারাবাদে প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় কম নাম্বার পাওয়ায় মোঃ রাসেল মাহামুদ নামে এক শিক্ষককের বিরুদ্ধে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ১০ শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত মো. রাসেল মাহামুদ নামের উপজেলার ১০ নং বলদিয়া চামী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।রবিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার বলদিয়া চামী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল মাঠে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা।জানা যায়, গত ৭ মে বুধবার নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ১০ নং বলদিয়া চামী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৫ মে বৃহস্পতিবার শেষ হয়। ২৫ মে রবিবার ওই পরীক্ষার ফলাফলের ঘোষণা করা হয়। পরিক্ষার ফলাফলে একাধিক শিক্ষার্থী ইংরেজি পরীক্ষায় আশানুরূপ রেজাল্ট না করায় ওই বিষয়ের শিক্ষক মোঃ রাসেল মাহামুদ ক্ষুব্ধ হয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া সকল শিক্ষার্থীদের পর্যায়ক্রমে বেত্রাঘাত করেন। এ ঘটনায় ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিষয়টি অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রীদের মাধ্যমে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে সন্ধ্যার পরে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া তামান্না আক্তার অভিযোগ করে বলেন, স্যার বরাবরই বদমেজাজের। সব সময় ক্লাসে বেত নিয়ে আসে। আজ হঠাৎ ক্লাসে ঢুকেই ক্লাসের সবাইকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। এ বিষয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া খাদিজা আক্তারের মা জাকিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে। বয়সের তুলনায় অনেক উঁচু লম্বা হয়েছে। আমরা তার গায়ে কখনো হাত দেই না। পরীক্ষা সে ফেল করেনি। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করেও মেয়েটাকে গরুর মত পিটিয়ে রক্তাক্ত করে দিয়েছে। যদি অপরাধ করে থাকে অভিভাবকদের ডেকে বিচার দেবে আমরা শাসন করবো। কিন্তু সবাই তো আর খারাপ রেজাল্ট করেনি তা পরেও সে ক্লাসের সকলকে সকলকে বেদম বেত্রাঘাত করেছে। আমি ওই শিক্ষকের বিচার চাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. রাসেল মাহামুদ বলেন, আমি চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ইংলিশ ক্লাস নেই। প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় তারা আশানুরূপ রেজাল্ট করেনি। অনেক কষ্ট করে তাদেরকে ইংরেজি শিক্ষা দেই। রেজাল্ট ভালো হয়নি বিধায় আমার মাথা ঠিক ছিল না। তাই ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থীদের একটু লাঠি দিয়ে পিটিয়েছি। ওদেরকে একটু শাসন না করলে তারা বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে। তাদের মাঝে মাঝে একটু আধটু মারলে কি হয়? স্কুলের শিশুদের গায়ে বেত্রাঘাত করা সমীচীন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ পেয়েছি। সেখানে বাচ্চাদের মারধর করার কোন বিধান নেই। সে দিক থেকে মারাটা আমার একদম ঠিক হয়নি। বিক্ষোভের খবর পেয়ে রাতেই আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিভাবকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছি।এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোসা. শিরিন আক্তার বলেন, আমি চিকিৎসা জনিত কারণে ছুটিতে আছি। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর বাচ্চাদের মারার কথাটি আমি শুনেছি। ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের মারা ঠিক হয়নি। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের বলেছি আমরা অভিভাবক সমাবেশে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। আপনারা সবাই বিক্ষোভ না করে বাড়িতে চলে যান। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাতের কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। সত্যতা পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓