ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অ্যাম্বুল্যান্সের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত সাতজনই বোয়ালমারী উপজেলার একই পরিবারের সদস্য। বিকেলে অ্যাম্বুলেন্সটির চালকও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ফলে ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ জনে। শনিবার(২৪ জুন)বেলা ১০.৪৫ টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রাম এলাকায় ফ্লাইওভারের ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতদের বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার ফেলাননগর গ্রামে বলে নিশ্চিত করেছেন ইউএনও মোশারেফ হোসাইন ও ওসি মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব।নিহতরা হলেন-বোয়ালমারীর গুনবাহা ইউনিয়নের ফেলানগর গ্রামের আজিজারের স্ত্রী তসলিমা বেগম (৫০),তার মেয়ে ও বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়নে মাইট কুমঢ়া গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর খানের স্ত্রী কমলা (৩০), কমলার ৩ সন্তান আরিফ (১২), হাসিব(১০), ও আফসা (২), কমলার ছোট বোন বিউটি (২৬) ও বিউটির ছেলে মেহেদী(১০)। নিহত চালকের নাম মৃদুল মালো (৪১)।নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তাসলিমা বেগম হৃদরোগে আক্রান্ত হলে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে যান। প্রায় দেড় মাস আগে ঢাকায় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়ে মেজো মেয়ে বিউটি বেগমের বাসায় অবস্থান করছিলেন। নিহত তাসলিমা বেগমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন তারা। বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গার মালিগ্রাম ফ্লাইওভারের অ্যাপ্রোস সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সটি ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়।এ সময় অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা সাতজন দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন,শনিবার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার কদমতলী থেকে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে যাচ্ছিল।বেলা ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি ভাঙ্গা উপজেলার চন্দ্রা ইউনিয়নের মালিগ্রাম এলাকায় পৌঁছলে এর সামনের বাম দিকের চাকা ফেটে যায় এবং অ্যাম্বুলেন্সের সামনের অংশটি ফ্লাইওভারের রেলিংয়ে গিয়ে লাগে। এতে সঙ্গে সঙ্গে এতে আগুন ধরে যায়।এতে অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে থাকা সাতজনই মারা যায়। আহত চালক বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।